এবার সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাঝে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর মাধ্যেমে নিজের ভোটার আইডি কার্ড পাওয়ার দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ হচ্ছে প্রবাসীদের। দুবাইয়ে বাংলাদেশ কনস্যুলেটে এরই মধ্যে প্রায় ৫০০ প্রবাসী স্মার্টকার্ডের জন্য আবেদন করেছেন। আবেদনের ১ মাসের মধ্যেই প্রথম পর্যায়ে ১০০ জন প্রবাসী বাংলাদেশি কার্ড পাচ্ছেন।
গত ১০ জুলাই সোমবার আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে স্মাটকার্ড বিতরণের মাধ্যমে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান। নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান জানান, প্রবাসীদের এনআইডি কার্ড প্রদানে আমিরাতের প্রকল্পটি সফল হলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পর্যায়ক্রমে এ কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা হবে।
আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফরের সভাপতিত্বে স্মার্টকার্ড বিতরণের কার্যক্রম অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সচিব মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। কনস্যুলেট সূত্রে জানা যায়, আগামী ১৩ জুলাই দুবাইয়ে ইস্যুকৃত প্রায় একশ প্রবাসীর স্মার্টকার্ড প্রদান করা হবে। নির্বাচন কমিশনের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য যেসব প্রবাসী অনলাইনে আবেদন জমা করবেন, তাদের ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বাংলাদেশ মিশনে বায়োমেট্রিক দিতে হবে। এছাড়া যেসব প্রবাসীর পেপার লেমিনেটেড জাতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে, তারাও চাইলে স্মার্ট কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
এদিকে জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্টের মধ্যে তথ্যের অমিল রয়েছে অসংখ্য প্রবাসীর। এ সমস্যা সমাধানের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করতে চান আমিরাত প্রবাসীরা৷ এ বিষয়ে রাষ্ট্রদূত আবু জাফর জানান, এ মুহূর্তে সংশোধন করা সম্ভব নয়। আপাতত নতুন জাতীয় পরিচয়পত্রের আবেদন গ্রহণ করা হবে। তবে আগামীতে সংশোধন চালুর ব্যবস্থা করা হতে পারে।
কনসাল জেনারেল বি এম জামাল হোসেন বলেন, প্রবাসীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। কারণ এটি তাদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা ছিল। প্রবাসে থেকে তারা নির্বিঘ্নে রেজিস্ট্রেশন বা এনআইডি কার্ড পাবে এই আশা ও প্রত্যাশা তাদের। ১৩ জুন স্মার্ট কার্ডের পরীক্ষামূলক কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস ও দুবাই কনস্যুলেট। এরপর চলতি মাসের শুরু থেকে প্রশিক্ষিত লোকবল দিয়ে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করে এই দুই মিশন।